অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূকের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

ওই নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাদের পদত্যাগ কার্যকর করতে অনুরোধ করে নিজেকে উপদেষ্টামণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।অন্যথায় এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বিগত ১৬ বছর পর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যার নায়ক খুনি শেখ হাসিনার পতনের পর সাধারণ ছাত্র-জনতা ও দেশবাসী একটি সুন্দর সরকার চেয়েছিল, সকল বিতর্কের উর্ধ্বে উঠে একটি ক্লিন ইমেজ, সজ্জন ও সার্বজনীন গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করবেন। কিন্তু আমরা দেখছি ফ্যাসিস্ট সরকারের উপাদান বিদ্যমান এমন ব্যক্তিদের উপদেষ্টা মন্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা দুঃখজনক, অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত। বিতর্কিত ও খুনি হাসিনার সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের উপদেষ্টা করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি নোবেলজয়ী ব্যক্তির উপদেষ্টামণ্ডলীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।’

আরও বলা হয়, ‘মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও তার স্ত্রী তিশা বিগত স্বৈরাচার সরকারের আশির্বাদপুষ্ট হয়ে অনেক সুবিধার ভাগিদার হয়ে আজকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিজয়ের ভাগিদারও নিতে চায়। অন্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার ৪৯ নং এফআইআরভুক্ত অন্যতম আসামি এবং আওয়ামী সরকারের এমপির ভাই। বিতর্কিত ও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সুবিধাভোগী মুজিববাদ আদর্শের অনুসারীদের উপদেষ্টামণ্ডলী থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানাই।’

নোটিশে বলা হয়, ‘জুলাইয়ের বিপ্লবের নিহত ও আহত শহীদ ছাত্র-জনতার তাজা রক্তের প্রতি শ্রদ্ধাপোষণ করে অবিলম্বে লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার সুবিধাভোগী বিতর্কিত ও ছাত্র হত্যার আসামিদের উপদেষ্টামণ্ডলীতে দেখতে চায় না।’

নোটিশদাতা আইনজীবী দাবি করেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতনের আন্দোলনে মৃত্যুর মুখে দাড়িয়ে তিনি গত ১৭টি বছর নানা নির্যাতন হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২৬ দিন গুলির মুখে দাড়িয়ে আন্দোলন করে ফ্যাসিবাদ বিদায় করার গর্বিত অংশীদার হিসাবে তাকে উপদেষ্টামণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন।