অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা না করে নতুন খেলায় মেতেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী।আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় চৌমুহনী রেলওয়ে ময়দানে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও চৌমুহনী পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিপ্লব ও সংগতি দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থার দিকে না গিয়ে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার লোকজনকে পুর্নবাসনে ব্যস্ত রয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্রের নতুন খেলা জনগণ বুঝে ফেলেছে। তাই এক মুহুর্ত দেরি না করে নির্বাচনের দিতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করতে হবে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ঘাতক, নিষ্ঠুর, রক্তপিপাষু, শেখ হাসিনাকে সরাতে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণঅভ্যাত্থান ঘটিয়ে যে আশা আকাঙ্খা নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে তারা ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেইমানি শুরু করেছে। এতে জনগণ তাদেরকে কোনোভাবে আর বিশ্বাস করতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত হাসিনা সরকারের সিন্ডিকেট গোপনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী মজুদ করে অবৈধ উপার্জন করলেও রহস্যজনক কারণে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এই সরকার ব্যবস্থা নিতে তালবাহানা করছে। তাই সবকিছুর একমাত্র সমাধান হবে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা। সেজন্য অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে।’
বরকতউল্যা ভুলু বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে অতীতের মতো বিএনপি যেকোন ত্যাগের প্রস্তুত আছে। গত ১৭ বছর দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম, খুন, অপহরণের স্বীকার হয়েছে। এ জন্য ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ও তার দোসরদেরকে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় যে কোনো আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস। সমাবেশ পরিচালনা করেন চৌমুহনী পৌর বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন। বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বরকতউল্যা ভুলু, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামিম, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মীর হেলাল, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দর, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবদুর রহমান, এ্যাড. জাকারিয়াসহ আরও অনেকে।