সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার ভোর ৪টার দিকে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে শিশুটির পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মুনতাহা (৬) সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ‘ঘটনার দিন আমার বাড়িতে খেলা করছিল মুনতাহা। ওইদিন কোন এক সময় শিশুটিকে ধরে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ পাশে ডোবায় পুঁতে রাখা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল শিশুটিকে জীবিত পাবো। কিন্তু তার মরদেহ মিলবে, তাকে হত্যা করা হবে কল্পনাও করিনি।’

তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল গণমাধ্যমকে জানান, মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির পাশের প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার ও তার মা আলীফজান মিলে তাকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মুনতাহাকে অপহরণ করার পর হত্যা করা হয়। ওইদিনই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশের একটি ডোবায় কাদামাটিতে পুঁতে রাখা হয়। আজ ভোরে আলীফজান বেগম মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। এ সময় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মর্জিয়া, তার মা ও নানিকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।’

ওসি বলেন, ‘গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে মর্জিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। এরপর রবিবার ভোরে মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে আটক দেখানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। মূলত হত্যাকারীর উদ্দেশ্য ছিল মরদেহ পুকুরে ফেলে মূল ঘটনা ব্যাহত করার চেষ্টা করা।’