সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনকে (৬) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আজ রবিবার দুপুরে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মুনতাহাকে হত্যা করে তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা শামিমা।
বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুনতাহার নিখোঁজ হওয়ার খবর শেয়ার করছিলেন লাখো মানুষ। তাকে খুঁজে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছিলেন তারা। অবশেষে তার খোঁজ মেলে। তবে উদ্ধার হয় তার মরদেহ। আজ রবিবার ভোরে নিখোঁজের সাতদিন পর নিজ বাড়ির পুকুর থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার নিথর উদ্ধার করা হয়।
এরপর নতুন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ৩ নভেম্বর মুনতাহার বাবা তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় অবহিত করেন। পরে থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে থানায় এজাহার দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ।
তদন্তের সূত্র ধরে মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা শামিমা বেগম মার্জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন মার্জিয়া। তিনি জানান, ৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে তাদের ঘরে শিশু মুনতাহাকে গলা টিপে ও বস্তাচাপা দিয়ে হত্যা করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় আরও কিছু মানুষের নাম তারা পেয়েছেন। ইতিমধ্যে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, শামিমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বেগম ও নানি কুতুবজান বেগম, ইসলাম উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন ও নাজমা বেগম। তারা সবাই কানাইঘাটের বাসিন্দা ও শিশু মুনতাহার প্রতিবেশী।