অস্ট্রেলিয়ান পাসর্পোটধারী (পাসর্পোট নম্বর চই৪১৫৪৭৫৯) হয়েও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক পদে বহাল তবিয়তে আছেন মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূইয়া।
এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ইউজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা। কিন্তু ইউজিসি কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট গ্রহণের মাধ্যমে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হন গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা সার্কেল-৩-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ অনুযায়ী তার চাকরির অবসান করে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। অথচ একই আইন লঙ্ঘন করেও বহাল তবিয়তে আছেন মাকছুদুর রহমান ভূইয়া। এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান নামে ইউজিসির একজন কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ বলা হয়, মাকছুদুর রহমান ভূইয়া আইএমসিটির শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও ইউজিসিতে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে যোগ দিয়েছিলেন অ্যাডহক ভিত্তিতে। তার প্রভাষক নিয়োগে অডিট আপত্তি রয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৬ বছর ইউজিসিতে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। এ সময় পরীক্ষা না নিয়েই তাকে অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর/সিনিয়র সহকারী পরিচালক করা হয়। এরপর দেশে এসে উপপরিচালক হন। যেখানে তার পূর্ববর্তী পদে যে ৪ বছর থাকার কথা, তা ছিল না। তার জন্য বিশেষ সার্কুলার দেওয়া হয়। যেখানে শর্ত দেওয়া হয়, বিদেশে ডিগ্রি থাকলে যোগ্যতা দুই বছর শিথিল হবে। বিদেশে দেড় বছরের ছুটি নিয়ে গেলেও ছিলেন ৬ বছর। কিন্তু পুরো সময়ের টাকা ইউজিসি থেকে তুলে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূইয়াকে বার বার ফোন করেও তার ফোন খোলা পাওয়া যায়নি।
পরিচালক মাকছুদুর রহমান ভূইয়ার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান আমাদের সময়কে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।