আমাদের সংস্কৃতি আমাদের পরিচিতি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী করমইল মাঠে অনুষ্ঠিত হল আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী সহরই উৎসব। গত শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কারিতাসের আশা প্রকল্পের সহযোগিতায় আদিবাসী সামাজিক সংগঠন এ উৎসবের আয়োজন করে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান। শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সী আদিবাসী নারী-পুরুষের সমবেত নাচ-গানে মুখরিত হয়ে উঠে অনুষ্ঠান স্থল। এবার এ উৎসবে নওগাঁর মহাদেবপুর, পতœীতলা, ধামইরহাটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ৫২টি আদিবাসী সাংস্কৃতি দল অংশগ্রহণ করে। উৎসব দেখতে আদিবাসী ছাড়াও হিন্দু, মুসলিম সম্প্রদায়ের শতশত মানুষের আগমন ঘটে কুরমইল মাঠে। এ উৎসবকে ঘিরে মাঠের পাশে বসে এক দিনের গ্রামীণ মেলা। কারিতাসের মাঠ কর্মকর্তা পুষ্পিতা মার্ডি বলেন, আদিবাসীরা মূলত কৃষিজীবি, আর কৃষির অন্যতম বাহন গরু বা গোবাদি পশু। এই গবাদি পশুর সুস্থতা ও বংশ বৃদ্ধির কামনায় আদিবাসীরা এ উৎসব পালন করে। নাচ-গান শেষে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সহরাই উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশত তিগ্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোস্তাফিজুর রহমান, আগ্রাদ্বিগুণ ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মোস্তাক, কারিতাসের সিএমএলআরপি প্রকল্পের কর্মসূচি কর্মকর্তা একরামুল হক হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার আগরওয়ালা, সাধার সম্পাদক তাপস কুমার মহন্ত প্রমুখ।
আজাদুল ইসলাম, মহাদেবপুর, নওগাঁ,