অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতি যতটা সম্ভব কমিয়ে দেশ সংস্কার করছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। সেমিনারে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতেই এ সরকার কাজ করছে। বিশাল ঋণের বোঝা রেখে গেছে এ সরকারের ওপর। যা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা দুর্নীতির যে অবকাঠামো ছিল সেটা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছি। আমরা দুর্নীতি যতটা সম্ভব কমিয়ে সংস্কার করব।’ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এ সরকারের সঙ্গে অন্য সরকারের পার্থক্য হলো- অন্য সরকারের নির্বাচন করতে হয়, টাকা লাগে, মাস্তানি করা লাগে। কিন্তু আমাদের সরকার ক্ষমতায় যায়নি; আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। ছাত্ররা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। সুতরাং কায়েমি শাসনে দায়বদ্ধ নই। আমরা দায়বদ্ধ হাজারো শহীদদের প্রতি। ৩০ হাজারের বেশি আহতদের প্রতি ‘ তিনি বলেন, ‘সরকার আমানত। হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রকল্পে, এটা ব্যক্তিগত টাকা না জনগণের টাকা। এটা মাথায় রাখা উচিত। এ সরকারের কাছে জন প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। সবাই ভাবেন আমাদের কাছে জাদুর কাঠি আছে। আসলে কিছু নেই আমাদের কাছে। ব্যাংকে টাকা নেই। রাজনীতিবিদরা উসখুস করছেন কবে ক্ষমতায় আসবেন। আমরাও চাই নিজেদের কাজে ফিরে যাই।’ সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাদাত আলী, অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. আকতার মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রধান আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মেহেদি এইচ ইমন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার, উমামা ফাতেমা প্রমুখ।