ভোলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আগামী বছরের মধ্যে ৫ এবং ২৮ সালের মধ্যে আরও ১৪ টি কূপ খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ শুক্রবার ভোলার ৩টি গ্যাস ক্ষেত্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে এ মুহুর্তে গ্যাসের সংকট তাই, এ মুহুর্তে আপাতত আবাসিক লাইনে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে ভোলায় যেহুতু সম্ভবনা রয়েছে তাই এখানে শিল্পায়ন এবং ইকোনমনিক্যাল জোন করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোলার নতুন গ্যাস ক্ষেত্র ইলিশা-১ ক্ষেত্র পরিদর্শন করেন জ্বালানি উপদেষ্টা।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, চেয়ারম্যান, পেট্রোবাংলা, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) এস, এম মঈন আহম্মেদ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাপেক্স এবং উপদেষ্টার একান্ত সচিব মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূইয়া, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানসহ আরও অনেকে।
এদিকে, ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে পর্যাপ্ত গ্যাসের সুবিধা পায়নি ভোলার মানুষ। যার ফলে এখনো শিল্পায়ন থেকে অনেকটা পিছিয়ে এ জেলা।
ভোলাবাসীর দাবী, অতিদ্রুত ভোলার গ্যাসকে কাজে লাগিয়ে শিল্পায়ন করা হোক। এতে একদিকে যেমন ভোলার উন্নয়ন হবে, অন্যদিকে সারাদেশে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে এ জেলা। তবে ভোলার গ্যাস ক্ষেত্র পরিদর্শনে এসে আন্তবর্তীর্তিকালিন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘ভোলার গ্যাসের সম্ভাবকে কাজে লাগানো হবে।’ জ্বালানি উপদেষ্টার বক্তব্যেকে স্বাগত জানিয়েছেন ভোলার মানুষ।
শিল্প উদ্যোক্তা এ্যাডভোকেট বিথী ইসলাম ও ভোলা স্বার্থ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অমিতাব অপু বলেন, ‘আমি চাই ভোলায় গ্যাসে ব্যবহার নিশ্চিত হোক। একে সারাদেশের মত ভোলাতেও উন্নয়ন হবে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। একটি সমৃদ্ধ জেলায় পরিনত হবে ভোলা।’
উল্লেখ্য, ১৯৯২-৯৩ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিনের শাহবাজপুর গ্রামে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর পর্যায়ক্রমে এ জেলাতেই ৩টি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কার হয়। যেখানে ৯ কুপ খননের পর ২ ট্রিলিয়নের বেশি গ্যাসের মজুদ পাওয়া যায়।