বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবুঃ বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সুকদাড়া এলাকায় অবস্থিত দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে ১৫টি মহিষ হঠাৎ মারা গেছে। এছাড়া অন্তত ৭/৮টি মহিষ অসুস্থ রয়েছে। মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামার কর্তৃপক্ষের ধারনা খাদ্য বিষক্রিয়ায় মহিষগুলো মারা যেতে পারে।
মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানায়,দেশের একমাত্র এই মহিষ খামারে মোট মহিষের সংখ্যা ৪৩৭টি। এরমধ্যে ১৫টি মহিষ মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে মহিষগুলো অসুস্থ হতে থাকে এবং সকাল ১১টার দিকে ১৫টি মহিষ মারা যায়।তবে কি কারনে মহিষ মারা গেছে তার সঠিক কারন জানাতে পারেনি । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অসুস্থ মহিষগুলোর চিকিৎসা চলছে।
এদিকে মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মৃত মহিষগুলো মাঠের যেখানে সেখানে পড়ে আছে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, মহিষ মৃত্যুর খবর জেনে তারা খামারে এসে দেখেন ১৫টি মহিষ মারা গেছে। এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন,অস্বাস্থকর গো খাদ্র ও কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় মহিষগুলোর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহিষ গুলোর জন্য বরাদ্দকৃত গো খাদ্য না দিয়ে অসাধু কর্মকর্তারা নামমাত্র গো খাদ্য দেওয়ায় বর্তমানে জীবিত মহিষ গুলোর শারীরিক অবস্থা একেবারে নাজুক। এলাকাবাসী অনেকেই অভিযোগ করে বলেন,দেশের একমাত্র মহিষ প্ররজনন কেন্দ্রে কর্তৃপক্ষ মহিষগুলোকে সঠিকভাবে পরিচর্যা না করায় আজ ১৫টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে।
মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আহসান হাবীব প্রামানিক জানান, তিনি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন হঠাৎ রোদের পর বৃষ্টি হওয়ায় ঘাসে প্রাকৃতিকভাবে নাইট্রেড বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। যে কারনে ওই ঘাস খেয়ে মহিষগুলো অসুস্থ হতে পারে।
বাগেরহাট জেলা ভেটেরিনারী ডাঃমনোহর চন্দ্র মন্ডল জানান, মৃত মহিষের ময়না তদন্ত করে নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর প্রতিবেদন আসলে মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
বাগরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃসাহেব আলী বলেন, মৃত মহিষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও খাবারের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মহিষের মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।