সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটের। অনেকদিন ধরে চাপে আছেন দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ব্যাট হাতে অনেকদিন ধরেই রান পাচ্ছিলেন না তিনি। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান সফরে দল ভালো করলেও ব্যর্থ হয় ভারতে। দুই ম্যাচের টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হয় টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও ধবলধোলাই হওয়ার পথে শান্তবাহিনী।

সবকিছু মিলিয়ে অধিনায়কত্ব ছাড়ার আগ্রহ দেখান শান্ত। দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে চাউড় হয় আজ শনিবার দুপুরে। জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ বিসিবির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজ শেষেই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন শান্ত। জানা যায়, অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়েছেন তিনি।

যদিও অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি শান্ত। অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই নিজের পারফরম্যান্সে ভাটা পড়তে থাকে তার। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে কমেছে রানের গড়। মূলত, নিজের ব্যাটিংয়ের দিকে নজর দিতেই অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন তিনি। শান্ত সরে গেলে নতুন অধিনায়ক কে হবেন, সেটি নিয়ে এখন জল্পনা চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের নাম। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও তেমন ইঙ্গিতই দিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘অবশ্য মিরাজ ইজ ওয়ান, কেন সেটা জানেন। সে তিন সংস্করণে খেলছে। দুইটা সংস্করণ তো কনফার্ম খেলে। সে অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরও অধিনায়ক ছিল।’

এর আগে শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘কোনো প্রেসের সঙ্গে নাজমুল এই ব্যাপারে কথা বলেছে কি না আমি জানি না। স্যোশাল মিডিয়ার যুগে অনেক সময় ওদের স্ট্রেস কাজ করে। যেকোনো নিউজ তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এমন কিছু হলে বাইরে কথা না বলে সরাসরি কথা বলা ভালো।’

বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘যদি এমন কিছুর কারণে ছাড়তে চায় বা এমন কিছু অনুভব করে তাহলে সরাসরি অপারেশন বিভাগ কিংবা পরিচালক বা বোর্ড সভাপতিকে জানাতে পারে। যদি সে চালিয়ে যেতে না পারে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’