রাশিয়ার কুরস্ক এলাকায় উত্তর কোরিয়ার ১০ হাজার সেনা অবস্থান করছে, এমন দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। তারপরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি রাশিয়ার পক্ষ নিয়ে সরাসরি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাইছে উত্তর কোরিয়া?

এ নিয়ে খোদ উদ্বেগ জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অবশ্য প্রথম দিকে ১০ হাজার সেনার কথা বললেও , এখন পেন্টাগন বলছে সংখ্যাটি ‘ছোট বহর’।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

মার্কিন বিমান বাহিনীর মেজর জেনারেল এবং পেন্টাগনের প্রেস সচিব প্যাট রাইডার বলেছেন, আমরা এই সপ্তাহের শুরুতে যেমন উল্লেখ করেছি, আমরা বিশ্বাস করি উত্তর কোরিয়া পূর্ব রাশিয়ায় প্রশিক্ষণের জন্য ১০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে এবং এই সেনারা সম্ভবত আগামী কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ান বাহিনীকে বাড়িয়ে তুলবে।

মার্কিন সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘সেই সেনাদের একটি অংশ ইতোমধ্যে ইউক্রেনের কাছাকাছি রাশিয়ার কুরস্ক ওব্লাস্টের দিকে চলে গেছে, ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে অন্তত কয়েক হাজার সেনা রয়েছে। আমি নির্দিষ্ট সংখ্যায় যেতে যাচ্ছি না, শুধু এই মুহুর্তে বলা; আমরা মূল্যায়ন করি এটি একটি তুলনামূলকভাবে ছোট বহর’।

তিনি আরো বলেন, ‘রাশিয়া যুদ্ধে সেনাদের ব্যবহার করতে বা কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ অভিযানে সহায়তা করতে চায় বলে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের ইউক্রেনীয় অংশীদারদের পাশাপাশি অন্যান্য মিত্র ও অংশীদারদের সাথে পরামর্শ করছি’।

রাইডার বলেন, ‘ইউক্রেনের অভ্যন্তরে উত্তর কোরিয়ার বাহিনী রয়েছে এমন প্রতিবেদনগুলোকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এখনই কোনও তথ্য নেই’।

এর আগে সোমবার সাংবাদিকদের ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে নিশ্চিত করেছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইতোমধ্যেই কুরস্ক অঞ্চলে সংঘাতের বিপজ্জনক সম্প্রসারণের মধ্যে রয়েছে।

অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইউক্রেনে প্রবেশ করলে ইউক্রেনের সেনাদের আক্রমণ করা উচিত বলে মত দিয়েছেন জো বাইডেন।