বৈষ্যম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পৃথক আরও ১৩টি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার সকালে ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

মামলাগুলোর ১টি হচ্ছে বিমানবন্দর থানার, ১টি ভাটারা থানার, ৭টি উত্তরা পূর্ব থানার, ১টি গুলশান থানার, ১টি বাড্ডা থানার এবং ২টি উত্তরা পশ্চিম থানার।

আজ বুধবার সকালে ঢাকা সিএমএম আদালতে মোট ৩৮ জন আসামিকে হাজির করা হয়। যার মধ্যে আতিকুল ইসলামও ছিলেন।

এর আগে আতিকুল ইসলামকে গত ১৭ অক্টোবর মোহাম্মাপুর থানার ৩টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে আদালতে আনা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।সে সময়ে গ্রেপ্তার দেখানো মামলগুলোর মধ্যে গত ১৯ জুলাই ছাত্র আন্দোলনে মোহাম্মাদপুর থানাধীন সেন্ট জোসেফ স্কুলের সামনে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিব হাসান (১৯) গুলিতে নিহত হওয়ার একটি মামলা রয়েছে। একইদিন মোহাম্মদপুরস্থ নুর জাহান রোডের প্রাইমারী স্কুলের সামনে রনি (১৯) গুলিতে নিহত হওয়ার একটি মামলা এবং মোহাম্মদপুর থানাধীন ময়ূর ভিলার সামনে আল শাহরিয়ার হোসেন (২৩) গুলিতে নিহত হওয়ার একটি মামলা রয়েছে।

মামলাগুলোর আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারের পর আতিকুল ইসলামকে বিধি মোতাবেক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এজাহারে বর্ণিত সহিংস ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকা উত্তর সিটিকরর্পোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার আসিফ আহমেদ ও তারেকুজ্জামান রাজিবসহ মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলারসহ নেতাকর্মীদের ছাত্র-জনাতার আন্দোলন দমনের নির্দেশ দেন। পরে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে তিনি স্বীকার করেন।