হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ জীবিত থাকাকালেই ৭১ বছর বয়সি নাঈম কাসেমকে হিজবুল্লাহর ‘দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা’ বলা হতো। তিনি ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে গোষ্ঠীটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ধর্মীয় পণ্ডিত।
ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন গোষ্ঠীটির কোনো শীর্ষ নেতা ছিলেন না। নাঈম কাসেম ১৯৯১ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আব্বাস আল-মুসাভির আমলে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
অবশেষে হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হলেন এই নাঈম কাসেম। মঙ্গলবার হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর উপপ্রধান নাঈম কাসেমকে প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এখন থেকে তিনিই হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেলের পদ সামলাবেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তাদের শূরা কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচনের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই নাঈম কাসেমকে নির্বাচিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর শীর্ষ নেতা পেল হিজবুল্লাহ।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ইসরাইল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ব্যাপক আগ্রাসন চালানো শুরু করে। ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে এক ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর তৎকালীন প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। এ হামলায় বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও কমান্ডার ইসরাইলি হামলায় নিহত হন।
নাঈম কাসেমকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়ে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, হিজবুল্লাহর নীতি ও লক্ষ্যগুলোর প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্যের জন্যই নাঈম কাসেমকে এই পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আমরা আল্লাহর কাছে দাবি করছি যেন তিনি তাকে হিজবুল্লাহ ও তার ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের এই মহৎ মিশনে পরিচালনা করতে পারেন। হিজবুল্লাহ তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আব্বাস আল-মুসাভি ১৯৯২ সালে ইসরাইলি হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হন।