নারায়ণগঞ্জে নিকলি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোকাররম সরদার মোকাকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। তিনি এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের ক্যাশিয়ার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতা করা হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মোকাররমের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
জানা যায়, তিনি একসময় মাত্র ৮০ টাকা রোজে লোড-আনলোডের কাজ করতেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। বুড়িগঙ্গায় জাহাজ থেকে লোড-আনলোডের সময় চুরি করে রাখা চাল, ডাল, গম, পাথর, কয়লা, সার বিক্রি করতেন মোকারম সরদার। তার রয়েছে জাহাজের পণ্য চোরাইয়ের সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেট থেকে মোকারম সরদার যে পরিমাণের টাকা আয় করতেন তার অর্ধেক স্থানীয় নেতাদের ভাগ দিতেন। পরে শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে নেতা বনে যান মোকাররম। রাজনীতি করেই এখন কয়েক শ’ কোটি টাকার মালিক তিনি। সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের ছত্রছায়ায় নানা অপকর্ম করতেন তিনি।
মূলত হারুনের অবৈধ সম্পদের কেয়ারটেকার ছিলেন মোকাররম। কেয়ারটেকার মোকারম সরদারকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে বিপুল পরিমাণ টাকা ছিটিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত করান হারুন। ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকার পরেও মোকাররমকে চেয়ারম্যান বানানো হয় শুধু হারুনের অবৈধ সম্পদ পাহারা দেওয়ার জন্য।
আলীগঞ্জের স্থানীয়রা জানান, হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার হিসেবে থাকাকালে আলীগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে মোকারম সরদারের লেবার অফিসে তার আনাগোনা ছিল প্রতিনিয়ত। ব্যবসায়িক নানা হিসাবের পাশাপাশি এই অফিসটি টর্চার সেল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে সেসময়।