সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানার জামিন স্থগিতই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বিভাগ সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে ২ মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে রানার জামিন প্রশ্নে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন।

এর আগে গত ১ অক্টোবর বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোহেল রানাকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দেন। সেই সঙ্গে সোহেল রানার নিয়মিত জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন উচ্চ আদালত।

তবে পরদিন ২ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক সোহেল রানার জামিন স্থগিত করেন।

সবশেষ সোমবার সোহেল রানার পক্ষে আদালতে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।

গত ১৫ জানুয়ারি দেওয়া এক আদেশে আপিল বিভাগ মামলাটির বিচারকাজ ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেন। সেই সঙ্গে নির্দেশনায় বেঁধে দেওয়া সময়ে বিচারকাজ শেষ করতে না পারলে তিনি (সোহেল রানা) যদি জামিন আবেদন করেন, তবে সংশ্লিষ্ট আদালতকে সে আবেদন বিবেচনা করতে বলা হয়েছিল। এ আদেশের পর প্রায় ৯ মাস হলেও এখন পর্যন্ত বিচারকাজ শেষ হয়নি।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার ৮ তলাবিশিষ্ট রানা প্লাজা ধসে শিল্পক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৫ জন নিহত হন। সেই সঙ্গে আরও হাজারখানেক শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ শতাধিক সাক্ষীর মধ্যে শুধু ৯১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ফলে এ মামলার বিচারকাজ কবে শেষ হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।