বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৭ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ রোববার বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজিরের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

বাকি আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-ডিএমপির উপ-কমিশনার ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকার, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি) মনিরুল ইসলাম ও র‍্যাবের সাবেক ডিজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ প্রমুখ।

১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আগামী ২০ নভেম্বর আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আরও ১৪ জনকে আগামী ১৮ নভেম্বর হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তারা হলেন-তারা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।