গাজীপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে বিয়ের চার মাসেই খুন হয়েছেন এক যুবক। শুক্রবার কালিয়াকৈর উপজেলার গাবতলী গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছেলেকে হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের বাবা আমজাদ হোসেন।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৩২) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সিফা গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গাবতলী গ্রামের সালাহ উদ্দিনের মেয়ে। তারা একে অপরের মামাতো ফুফাতো ভাই বোন।

নিহতের বাবা আমজাদ হোসেন জানান, গত চার মাস পূর্বে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গাবতলী গ্রামের সালাহ উদ্দিনের মেয়ে কানিজ ফাতেমা সিফার সাথে জাহাঙ্গীর আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের আগেই সিফার সঙ্গে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জেরে প্রেমিকের হাত ধরে বাবার বাড়ী থেকে পালিয়ে যায় সিফা। স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে ১৫ দিন পর তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর সিফার প্রেমিক একাধিকবার বিষ পান করে আতœহত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনা গোপন রেখে সিফাকে জাহাঙ্গীরের সাথে বিয়ে দেয় তার পরিবার। বিয়ের পর জাহাঙ্গীর তার স্ত্রীর প্রেমের বিষয়ে জেনে গেলে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। জাহাঙ্গীর তার স্ত্রীকে নিয়ে শ^শুড় বাড়ীতেই থাকতো। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতের খাবার খেয়ে তারা (স্বামী-স্ত্রী) ঘুমিয়ে পড়ে। ওই রাতের কোনো এক সময় জাহাঙ্গীর আলমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সিফা। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবা আমজাদ হোসেন ছেলের শ্বশুর বাড়ীতে এসে চিৎকার করলে ছেলের শ^শুর বাড়ীর লোকজন তাকে মারধর করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্ত্রীর পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে রাতে শ^াসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সিফা।

কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।