ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, ইসরাইল যদি গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করে এবং উপত্যকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়, তবে তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি আছে। তারা বিষয়টি মিসরীয় কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছে বলে এএফপিকে বলেছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরাইল ও মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানরা কাতার যাচ্ছেন।
মিসরের এক কর্মকর্তা বলেন, হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রোতে মিসরীয় কর্মকর্তাদের সাথে গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেছে। তিনি বলেন, ’হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রস্তুত। তবে ইসরাইলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে, গাজা উপত্যকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে, বাস্তুচ্যুত লোকদের ফেরত আসতে দিতে হবে, আন্তরিকভাবে যুদ্ধবন্দী বিনিময় করতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে।’
হামাসের সিনিয়র নেতা খলিল আল হায়া এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সিনিয়র হামাস নেতা ওসামা হামদান লেবাননের ইরানপন্থী টিভি চ্যানেল আল মায়াদিনকে নিশ্চিত করে বলেছেন, হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি বলেন, ইসরাইলকে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে, পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।
এদিকে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়া রোববার দোহা যাবেন। তিনি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন উদ্যোগে অংশ নেবেন বলে বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে। নেতানিয়াহুর অফিস জানায়, সম্প্রতি মিসরের কর্মকর্তারা যে আলোচনা শুরু করেছেন, তাতে তারা আগ্রহবোধ করছেন।
দোহায় মোশাদপ্রধান মিলিত হবেন সিআইএপ্রধান বিল বার্নস ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল সানির সাথে। তারা সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে হামাসের হাতে আটক ১০১ পণবন্দীর পরিবার আলোচকদলকে বন্দীদের মুক্তির চুক্তি করার ক্ষমতা দেয়ার দাবি জানিয়েছে।
সূত্র : এএফপি, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য