সচিবালয়ে ঢুকে নাশকতা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় কারাগারে যাওয়া ২৬ শিক্ষার্থী সদ্য নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি কাজে বাধার সৃষ্টি করে এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও সচিবালয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫৪ জনকে আটক করে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ২৮ জনকে মুচলেকা গ্রহণপূর্বক তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, বেআইনি সমাবেশের মাধ্যমে, বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশ করে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ আঘাত, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করে ক্ষতি এবং ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০-৭০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

তালেবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছেন, তারা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গেজড়িত। গ্রেপ্তার ২৬ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালত ২৬ শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন জহিরুল ইসলাম, ফয়সাল হাসান, রায়হান হোসেন, রুবেল আহম্মেদ, রিয়াদ মাহমুদ, মেজবাউল রহমান মিল্লাদ, মেহেদী হাসান, সোহান, ইমরান হোসেন আরমান, মেহেদী হাসান অন্তর, সাগর, রোহান, শাহরিয়ার হোসেন সোয়াদ, আহাম মোল্লা, সোহান, মাসনুন, নাঈম, ইমাম হাসান, শাকিল, সেলিম, সাকলাইন মুস্তাক, হানজালাল, মশিউর রহমান, প্রান্তিক, তাছিম রহমান ও রবিন মিয়া।

এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তবে এর কিছুক্ষণ পর আসামিদের আইনজীবীরা আগামী রবিবার জামিন শুনানি করার জন্য আবেদন করেন। পরে আদালত আগামী রবিবার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ করে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া একদল শিক্ষার্থী। সেখান থেকে ৫৪ জনকে আটক করা হয়। পরে ২৮ জনকে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ২৬ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়।