গাজীপুরে স্ত্রী ও শ্বাশুড়ীকে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে স্বামী। এ ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১ সদস্যরা। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত রাহিল রানা তানভীর (৩৫) টাঙ্গাইল সদর থানার বরুহা এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে। নিহতরা হলেন- গ্রেপ্তারকৃত তানভীরের স্ত্রী ও নাটোর সদর থানার লক্ষীপুরা এলাকার মুকুল আলীর মেয়ে মোর্শেদা বেগম (২২) এবং শাশুড়ি (তানভীরের) ফুলবানু (৪৫)।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহফুজুর রহমান জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার উত্তর সফিপুর এলাকার মামুন মিয়ার টিনসেড বাড়ীতে ভাড়া বাসায় মা ফুলবানুকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন মোর্শেদা বেগম। পারিবারিক কলহের জেরে কয়েক মাস যাবত মোর্শেদা বেগমের স্বামী রাহিল রানা তানভীর পৃথক বাসায় থাকেন। বনিবনা না হওয়ায় প্রায় দু’মাস আগে স্বামীকে তালাক দেন স্ত্রী মোর্শেদা। তালাকের খবর শুনে গত ১৬ অক্টোবর (বুধবার) দিবাগত মধ্যরাতে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মোর্শেদার বাসায় আসেন তানভীর। ঘরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে ঢুকেই স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এসময় তারা বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। অগ্নিদগ্ধ মা ও মেয়ের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করেন এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে মোর্শেদা বেগম এবং রাতে তার মা ফুলজান বেগম মারা যান।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহত ফুলবানুর মা আম্বিয়া বেগম (৬০) বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপ্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রাহিল রানা তানভীরকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোড় এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১ এর সদস্যরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত তানভীর। তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তানভীরকে রবিবার আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।