বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম, সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম ও তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা মুক্তিরও দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
আজ রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল মোহাম্মদ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন। এদিন, দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বিবাদী লাকির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ তুলা বিল ভাউচারের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মাসাৎ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগটির চার সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিমের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, নুরুজ্জামান ও ইকবালুরের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী ও সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পৃথক আবেদন দুটি করেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন।
সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের আবেদনে বলা হয়, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি অনুদানের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, করোনাকালে ভুয়া প্রশিক্ষণ বিল উত্তোলন, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর কালিদাসর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বর্তমানে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অনুসন্ধানকালে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সাবেক এমপি ইকবালুরের আবেদনে বলা হয়, ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মাগারপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।