ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করতে সিরিয়ায় মোতায়েনকৃত যোদ্ধাদের লেবাননে ফিরিয়ে আনছে হিজবুল্লাহ।তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার মায়াদিন এবং আল বুকামাল এলাকা থেকে শত শত যোদ্ধাকে লেবানন নিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ। এ ছাড়া দামেস্কের বিভিন্ন এলাকা ও হামা থেকেও যোদ্ধাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
গত এক দশক ধরে সিরিয়ায় নিজেদের শক্তিমত্তা বৃদ্ধি করেছে হিজবুল্লাহ। ২০১১ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠী। যতই দিন যায়, তারা সেখানে শক্তি বৃদ্ধি করে। তবে এখন আবার ইসরায়েলকে মোকাবিলা করতে তাদের সেনাদের ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হিজবুল্লাহর কাছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এখন সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ। এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা।