ইতিবাচক হোক কিংবা নেতিবাচক; বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময়ই আলোচনার শীর্ষে ছিলেন সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়ারের বিদায়লগ্নেও তুমুল চর্চিত সাকিব। আগামী ২১ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্ট খেলে এই সংস্করণকে বিদায় বলতে চেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে সেটি যে এখন সম্ভব হচ্ছে না, সেটি প্রায় নিশ্চিত।
সাকিবকে নিয়েই গতকাল প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা-ও হয়েছিলেন সাকিব। তবে দুবাইতে ট্রানজিট নেওয়ার সময়ই তাকে দেশে আসতে না করা হয়।
জনপ্রিয় ক্রীড়া ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে সাকিব বলেন, ‘আমি জানি না পরবর্তীতে কোথায় যাব, তবে এটা প্রায় নিশ্চিত আমি আর দেশে ফিরছি না।’
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ চলাকালেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই এই সংস্করণের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন তিনি।
সাকিব যাতে দেশে ফিরতে না পারেন সেজন্য অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন কিছু বিক্ষোভকারী। ‘মিরপুর ছাত্র জনতা’ নামে একটি দল বিসিবিকে জানায় সাকিব স্টেডিয়ামে ঢুকলে কঠোর প্রতিরোধ করবে তারা। এরপরই বুধবার সন্ধ্যায় সাকিবকে আসতে না করে দেওয়া হয়।
সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে জটিলতা শুরু হয় গত ৫ আগস্টের পর। প্রায় ১৬ বছর পর ওইদিন ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার। সবশেষ সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন সাকিব।
জুলাই-আগস্টজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরো সময় দেশে ছিলেন না সাকিব। তবে, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ায় ও এই আন্দোলনের সময় তার চুপ থাকায় খেপেছেন ক্রিকেটভক্তরা। উপরন্তু, এই সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভালো দিন কেটেছে’ ক্যাপশনে ছবি দিয়ে আরও তোপের মুখে পড়েন সাকিব। পরে সাকিবের নামে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়।