বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করা ফ্যাসিবাদের দোসর শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেন গণকবরে পরিণত করে গেছেন।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের মানুষের চাহিদা অনেক বেশি- উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘এই সরকারের আমলে মহামারিতে যেন একজন লোকও বিনা চিকিৎসায় মারা না যান।’

এ সময় রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রশাসনে এখনো অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে।’

পুলিশের মাঠ পর্যায়ের রদবদল প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া আট’শ তিনজন পুলিশের উপ-পরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে খবর পাচ্ছি। এরা কেউ-ই নিরপেক্ষ নন। তারা সবাই হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২’শ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এই সব পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে।’

আরও অনেক ঘটনা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যা এখন বলতে চাচ্ছি না।’

জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান সফলে ছাত্রজনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিও দেখিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলেন ‘স্যার, একটা মারলে একটাই যায়, বাকীগুলো যায় না।’ এইসব কর্মকর্তাদের পুলিশের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা ছাত্রজনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘যে পুলিশ ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে, সেইসব পুলিশ কিভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুলিশের ২’শ এস আই কিভাবে এখনো হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে?’

এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্রজনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের এসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তা না হলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।’