মিরসরাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কবির আহম্মদ সওদাগর (৭০) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার কাঠ মার্কেটের দিদার টিম্বার ডোর এন্ড ফার্নিচার দোকানে এই ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হন কবির আহম্মদের ছেলে দিদারুল আলম (৪২) ও জামশেদ আলম (৩৫), আবদুল বারেক (২৮), শরীফুল ইসলাম (৩০) ও অজ্ঞাত (৩০)। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অজ্ঞাত যুবককে (৩০) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত কবির আহম্মদ উপজেলার ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি একই ইউনিয়নের গণকছড়া গ্রামের মৃত দিল মোহাম্মদের ছেলে। বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী বলেন, বিএনপির প্রবীণ নেতা কবির আহম্মদের মার্কেটে একটি দোকানে কয়েকমাস আগে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনায় পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন বাবলু শালিসি বৈঠক করেন। এই ঘটনায় কবির আহম্মদ ও জিয়া উদ্দিন বাবলুর সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭-৮ জনের একটি স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কবির আহম্মদের দোকানে এসে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। হামলায় অংশ নেওয়া গ্রুপটি জিয়া উদ্দিন বাবলুর সাথে জড়িত। এসময় ঘটনাস্থলে কবির আহম্মদের মৃত্যু হয়। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় কবির আহম্মদের দুই ছেলে দিদারুল আলম ও জামশেদ আলমসহ দোকানের কয়েকজন কর্মচারী। কবির আহম্মদের খুনীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এরশাদ উল্ল্যাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কবির আহম্মদ নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের একাধিক স্থানে কোপানোর জখম রয়েছে। এই ঘটনায় আহত অবস্থায় আরো ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অজ্ঞাত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে কবির আহম্মদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। কবির আহম্মদকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আকতার হোসেন, মিরসরাই