খাগড়াছড়ি জেলার সকল পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা রক্ষায় আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছে।পাশাপাশি থাকবে বিজিবি -পুলিশ ও স্থানীয় সেচ্ছাসেবক।
সুত্র মতে, দেশের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে , সাধারণ ও জাতীয় নির্বাচন সহ পূজার নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় শারদীয় দুর্গাপূজা- ২০২৪ উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার পূজা মন্ডপ গুলোর গুরুত্ব বিবেচনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজা মন্ডপ সমুহে ৮ জন ও সাধারন পূজা মন্ডপ সমুহে ৬ জন হারে মোট ৬১ টি পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ৪২২ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যা মোতায়েন করা হয়েছে।
মোতায়েনকৃত আনসার-ভিডিপি সদস্যরা ০৮ অক্টোবর হতে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ দিন ব্যাপী সার্বক্ষণিক পূজা মন্ডপে নিয়োজিত থেকে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করবেন।
আনসার-ভিডিপি খাগড়াছড়ি’র জেলা কমান্ড্যান্ট মো: আরিফুর রহমান জানান, যে কোন জরুরি প্রয়োজনে আনসার ব্যাটালিয়নের ০১ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গাপূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আনসার ব্যাটালিয়ন স্ট্রাইকিং ফোর্স পূজামন্ডপে নিরাপত্তায় টহল পরিচালনা করবে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এবং দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আনসার ব্যাটালিয়ন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। মঙ্গলবার (০৮অক্টোবর) থেকে প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে পূজামন্ডপ পরিদর্শন করছেন এবং তার সার্বিক দিক নির্দেশনায় উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষকেরা নিজ নিজ উপজেলায় মনিটরিং করছেন। এছাড়াও প্রতিটি মন্দিরের আশেপাশে সাদা পোশাকে বাহিনীর সদস্যগণ গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে পরিদর্শন কালে জেলা কমান্ড্যান্ট আরিফুর রহমান হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন। এ সময় তিনি অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করার অনুরোধ জানান।
এছাড়াও অন্য সব ধর্মাবলম্বীদের, সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার সহযোগিতা ও সম্প্রীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টিতে নিবেদিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।