প্রায় ৭ বছর সময় নিয়ে নওগাঁর মান্দায় জোতবাজার আত্রাই নদীর ওপর ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে সেতুটির সংযোগ সড়কের বেহাল দশার কারণে এর সুফল পাচ্ছে না স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুটির সংযোগ সড়ক দিয়ে যান চলাচল তো দূরের কথা হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মান্দা উপজেলার হাজারো মানুষ। এভাবেই চলছে প্রায় ২ বছর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মান্দা উপজেলার জোতবাজার খেয়াঘাটে নির্মিত আত্রাই নদীর উপর এই সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকবাসীর কোনো কাজেই আসছিলো না। পরবর্তীতে গত ২০২৩ সালে ৯ মে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ টেন্ডার ছাড়াই নিজ উদ্যোগে উদ্বোধন করেন সাবেক এমপি ব্রুহানী সুলতান মাহমুদ গামা।

সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল মান্দা-৪ আসনের সাবেক এমপি মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। পূর্বমান্দার হাজারও মানুষের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ২১৭ দশমিক ৩০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণকাজ শেষ হয়। এতে এর পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ১৮ কোটি ৮১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশের সংযোগের ঢালু রাস্তার এঁটেল মাটি সরে গিয়ে কাঁদা ও বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা পায়ে হেঁটে কষ্ট করে চলাচল করছে। স্বাভাবিকভাবে সেতুতে উঠা-নামা করতে পারছেন না চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহন। কাঁদায় গাড়ির চাকা দেবে আটকে যাচ্ছে ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় পড়ছেন যাত্রীরা।

এলাকার স্থানীয় ভ্যানগাড়ি চালক মো.আফজাল বলেন, অনেক দিন পর এই ব্রীজ পেলেও সংযাোগ সড়কের বেহাল দশা। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার অবস্থা খুব হয়ে যায়। ফলে ফেরিঘাট রাস্তা হয়ে ঘুরে উপজেলায় আসতে হয়।

উপজেলার ঔষধ কোম্পানির এমপিও মো.আলমগীর বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয়। এত কোটি টাকার ব্রীজ হয়েছে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচল করাই যায় না। এমনকি পায়ে হেঁটেও দুষ্কর হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত নজর দেওয়া উচিত।

স্থানীয় শিক্ষক মো.জাহাঙ্গীর আলম জানান, ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এতে এলাকার মানুষদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভ্যান, নসিমন ছাড়াও পায়ে হেঁটে চলতে গিয়ে অনেক মানুষ হোঁচট খেয়ে পড়ে আহত হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নওগাঁ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়কের জন্য পূর্বের ঠিকাদার কাজ সম্পূর্ণ না করায় নতুন করে ঠিকাদারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে এ সেতুর সংযোগ সড়কের জন্য টেন্ডার হয়েছে। অতি দ্রুত কাজ শুরু হবে।

মোঃ খালেদ বিন ফিরোজ
নওগাঁ প্রতিনিধি