পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভের পর সেখানে নিরাপত্তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী। বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজ সোমবার দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসইসিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামো হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী এর সুরক্ষায় দায়বদ্ধ থাকবে।

গতকাল রবিবার পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতনের জন্য বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএসইসি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন বিনিয়োগকারীরা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে বিএসইসির সামনে থেকে চলে যান বিনিয়োগকারীরা। এ পরিস্থিতিতে রবিবার সকাল থেকেই বিএসইসি কার্যালয়ের সামনে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিএসইসি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, নিয়ম না মানায় ২৮ প্রতিষ্ঠানকে ‘জেড ক্যাটাগরি’তে নামিয়ে আনার পাশাপাশি বেক্সিমকোর শেয়ারে কারসাজিকারীদের ৪২৮ কোটি টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

অন্যদিকে, বিএসইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, আগের কমিশনের তদন্তের ওপর ভিত্তি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই ব্যবস্থা নিয়েছে। আগের কমিশন কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলেও জানান তারা।