গাজীপুরে নিজ ঘর থেকে স্বামী স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা দু’জনেই ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করতেন। রবিবার কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল নয়াপাড়া এলাকা ওই লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও পৃথক ঘটনায় নিহত আরো দুইজনের লাশ একইদিন উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার এসআই তাইম উদ্দিন ও স্থানীয়রা জানান, মহানগরীর বাইমাইল নয়াপাড়া এলাকার মৃত সোহাগ মিয়ার মেয়ে পারভীন আক্তারকে (৩২) বিয়ে করে জালাল মিয়া (৪২)। এটি উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর নয়াপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন জালাল মিয়া। তারা স্থানীয় ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে তাদের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ করতে থাকেন প্রতিবেশিরা। একপর্যায়ে তারা টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে ধর্নার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো জালাল মিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তার স্ত্রী পারভীন আক্তারের লাশ বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত দম্পতির লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এসআই তাইম উদ্দিন আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী পারভীন আক্তার কীট নাশক জাতীয় দ্রব্য খেয়ে ও স্বামী জালাল মিয়া ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে শ্রীপুর উপজেলার নিমুরিয়া এলাকার রাস্তার পাশ থেকে কাওসার নামের এক যুবকের লাশ একইদিন (রবিবার) দুপুরে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবক ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রগুনাথপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি জয়নাল আবেদিন মন্ডল বলেন, নিমুরিয়া এলাকার একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এসময় লাশের পাশে পড়ে থাকা একটি রেঞ্জ, প্লাস্টিকের রশি ও একটি গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি করতে এসে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপরদিকে গেল রাতে টঙ্গী ফ্লাইওভার নিচে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল পর্যন্ত তার পরিচয় মেলেনি।