গাজীপুরের কালীগঞ্জে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভাগ্নের স্ত্রীকে শাল বনে নিয়ে ধর্ষণের পর শ^াসরোধে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের খালুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যক্তি। শুক্রবার কালীগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ওসি আলাউদ্দিন।
নিহত ফাতেমা খাতুন শায়লা (২৩) পাবনার ফরিদপুর থানার আগপুঙ্গুলী গ্রামের এবাদ আলীর মেয়ে ও একই গ্রামের রুবেল খন্দকারের স্ত্রী। গ্রেপ্তারকৃত মজিদ মিয়া (৪২) পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আছিম উদ্দিন শেখের ছেলে। মজিদ মিয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বোর্ডমিল এলাকায় বসবাস করতেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন জানান, গত ২ জুলাই কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৮দিন পর (১০ জুলাই) কালীগঞ্জ উপজেলার মিরেরটেক এলাকার এক শাল বন থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ছবি, ওড়না ও জুতা দেখে স্বজনরা লাশটি সনাক্ত করে। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই শাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৪ জুলাই কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এরআগে স্বজনেরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে ৭ জুলাই কালিয়াকৈর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের খালু শ^শুর মজিদ মিয়াকে বৃহষ্পতিবার ভোররাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মজিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সে জবানবন্দিতে জানায় চাকরির প্রলোভনে শায়লাকে কৌশলে ওই জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষনের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার ভয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শায়লাকে শ^াসরোধে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে রেখে পালিয়ে যায় সে। গ্রেপ্তারকৃতের দেয়া তথ্যমতে নিখোঁজের ৩ মাস পর ফাতেমার হত্যার রহস্য উদঘাটন হলো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই আনোয়ার হোসেন।