বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আগামীতে আমরা মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র গঠনে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, কারখানার মালিকরা আকাশচুম্বি লাভ করবে আর শ্রমিকরা না খেয়ে মরবে তা হবে না। লাভের একটা সীমা থাকতে হবে, সীমাহীন লাভ করা যাবে না। প্রত্যেকটি কল কারখানায় বাৎসরিক লভ্যাংশের একটা নূন্যতম অংশ শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। শ্রমিক অধিকার পরিষদ সেই লক্ষ্যে কাজ করবে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের জন্য নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি। গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষরা ওভারটাইমের জন্য যে টাকা দাবি করছে তা যৌক্তিক দাবি। অতিরিক্ত কাজ করালে মানসম্মত নাস্তা দেওয়া যৌক্তিক দাবি।
তিনি শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা কারো উসকানিতে পা দিয়ে মিল কারখানায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করবেন না। দেশের ৪৫ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা এই গার্মেন্টস সেক্টর। এই গার্মেন্টস সেক্টর ভিয়েতনাম ভারতসহ যারা বাংলাদেশের প্রতিনিধি বিশেষ করে স্বৈরাচার ও তার দোসরা এই রপ্তানি মুখী খাতকে ধ্বংস করার জন্য বাংলাদেশের অর্থনীকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে। তাই কোন ধরনের আন্দোলন করে শিল্প কারখানা বন্ধ করবেন না। আপনাদের যদি কোন দাবী থাকে, অন্যায্য, অবিচার, অন্যায়ের বিষয় থাকে দেশের জনগনকে সাক্ষী রেখে কথা বলছি, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কার্যালয়ে যাবেন, আপনাদের প্রত্যেকটি ন্যায় সঙ্গত দাবী আদায়ে আমরা রাজপথে থাকব এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানও করব।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুর জেলা ও মহানগর শ্রমিক অধিকার পরিষদের উদ্যোগে কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মোমেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণঅধিকার পরিষদ নেতা মান্নান দেওয়ান, হাজী মোবারক হোসেন, সাইদুর রহমান বিপ্লব, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা মোঃ সোলায়মান প্রমুখ।
বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন,আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না সবে মাত্র দুই মাস হয়েছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান করে একটি ফ্যাসিষ্ট শাসনের পদত্যাগ ঘটিয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী শাসকরা গত দেড় দশকে অন্তত কয়েক হাজার পরিবারকে হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে। তাই সরকার যেন সুন্দরভাবে দেশ চালাতে না পারে বাংলাদেশকে তারা একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে। তাই তাদের চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন থেকে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে হবে । দেশের অর্থনীতি চাকাকে সচল করার জন্য গার্মেন্টস সহ সকল সেক্টরকে স্থিতিশীল রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের একটি বিরাট ভূমিকা ছিল। সারা দেশে নতুন প্রজন্মের ছাত্ররা আগামির নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। নেতৃত্ব তৈরীর জায়গা সকল বিশ^বিদ্যালয় কলেজের ছাত্র সংসদ। তাই অনতি বিলম্বে সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।