সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা আতাউল হকের (দোলন) বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় শতাধিক লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করেন। দোলনের পরিবারের দাবি, হামলাকারীরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী।

শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের আমির জানান, সাবেক এমপি দোলন তার এলাকার মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার কারণে তারা বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন বলে শুনেছি। জামায়াত-শিবিরের কোনো লোকজন এ ধরনের কাজ করতে পারে না।

সাবেক এমপি আতাউল হক দোলন বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে গুমানতলী কামিল মাদ্রাসায় ছাত্র শিবিরের কয়েকজন ছেলে লিফলেট বিতরণ করতে যান। মাদ্রাসার শিক্ষকরা লিফলেট নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। মাদ্রাসাকে রাজনৈতিকমুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান বলে তাদের জানান শিক্ষকরা। তখন তারা শিক্ষকদের কথা শুনে চলে যান। দুপুর ১টার দিকে ওই শিক্ষকরা সাবেক এমপি দোলনের বাড়ির পুকুরে গোসল করার সময় শিবিরের ছেলেরা মাদ্রাসার শিক্ষককে অপদস্ত করে। স্থানীয় লোকজন এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এতে করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমার ছোট ছেলে রাব্বিসহ আমাদের পরিবারের সদস্য জয়নুল আবেদীনঘটনাস্থলে এসে শিবিরের ছেলেদের পিঠে ছোট করে চড় দিয়ে ঘটনা মিটিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবিরের ছেলেরা বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিয়ে, এমপির ছেলে মেরেছে বলে গুজব ছড়ায়। বিকেল ৪টার দিকে শতাধিক লোকজন এসে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুরসহ লুটপাট করেন।

শ্যামনগর উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা গোমানতলী মাদ্রাসায় দাওয়াতি কাজে গেলে শিক্ষকরা দাওয়াতি কাজে অস্বীকৃতি জানান। তারা চলে আসার সময় শিবিরের আসাদুল্লাহ সাইফি, আবু তালেবকে লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাদের ওপরে হামলা করে এবং বই কে‌ড়ে নেয়। হামলায় ৪ জন শিবিরকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র শিবিরের ছেলেরা গোমানতলী মাদ্রাসায় দাওয়াতি কাজে গেলে কয়েকজন শিক্ষক দাওয়াতি কাজ করতে নিষেধ করন। এতে তারা ওই স্থান থেকে চলে আসে। শিবিরের ছেলেরা রাস্তায় পৌঁছালে আতাউল হক দোলনের ছেলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ৫ জনকে আহত করেন। আহত শিবিরকর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’