গাজীপুরের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্ততঃ ৫/৬জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার মহানগরীর কোনাবাড়ির জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন জরুন এলাকার এসট্রো নীট ওয়্যার লিমিটেড পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন যাবত ঝুট ব্যবসা করে আসছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন নেওয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন ও একই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খানের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে বিএনপির ওই দুই নেতার লোকজন তাদের নেতৃত্বে কারখানা থেকে ঝুট বের করতে যায়। এসময়ে একই ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ঝুট বের করতে বাধা দেয়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সালাউদ্দিন ও বিপ্লব খানের সমর্থক ১৫/২০ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের সমর্থকদের উপর হামলা চালালে আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেনসহ উভয় পক্ষের ৫/৬জন আহত হন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এব্যাপারে হাবিবুর রহমান জানান, আমি ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য একটি পক্ষ আমাকে জড়িয়ে অপবাদ দিচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ঝুট ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে শুনেছি দুটি পক্ষের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।