কারাগার থেকে সুস্থ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে মাসুদ সাঈদী। গতকাল সোমবার রাতে পিরোজপুর পৌরসভার পশ্চিম শিকারপুর সাঈদী জামে মসজিদে ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলাম আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করার কাজে লিপ্ত হয়েছিল শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের হাজার হাজার আলেমের রক্তে রঞ্জিত হয় খুনি হাসিনার হাত। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে, হাজারো মানুষকে হত্যার মাধ্যমে তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৭ বছর শেখ হাসিনা বিনা ভোটে ক্ষমতায় থেকে নিজেকে এ দেশের একচ্ছত্র অধিপতি মনে করেছিলেন। তিনি দেশ শাসন নয়, শোষণ করতে এসেছিলেন। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার চার দিনের মাথায় আল্লাহপাক খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করেছে। শেখ হাসিনার বুদ্ধিদাতা, পরামর্শদাতা এবং হাসিনার গডফাদার ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ থেকে তারা ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। সে কারণে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সকল দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাবন্দি করেছিল। কারাগার থেকে সুস্থ সাঈদীকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

Image not found

হাসিনা দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন জানিয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে তিনি পুরোপুরিধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। দেশের ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করে তার দল ও আত্মীয়-স্বজন চেটেপুটে খেয়ে গিয়েছে। দেশের মানুষকে তিনি আজকে বিপদে ফেলে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার দল আওয়ামীলীগকেও বিপদে ফেলে গিয়েছেন। আমরা অন্যায়ভাবে কারও প্রতি জুলুম করতে বিশ্বাসী নই। তবে আল্লামা সাঈদীসহ আলেমদেরকে যারা হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়ে অত্যাচার করেছে, জুলুম করেছে, নির্যাতন করেছে বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবেই।’

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে হাসিনাকে ভারত থেকে ধরে এনে বাংলাদেশে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলাম আয়োজিত ওয়ার্ড সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে স্থানীয়দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জহিরুল হক, পৌর সভাপতি আ. রাজ্জাক শেখসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।