সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দণ্ডিত সাংবাদিক শফিক রেহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে আদালতে আসেন তিনি। বেলা ১১টার দিকে শুনানি হয়।

আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, যেহেতু গত ২২ সেপ্টম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সাংবাদিক শফিক রেহমান দণ্ড ১ বছরের জন্য স্থগিত করেছেন। তাই এখানে জামিনের কোন বিষয় ছিল না। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আদেশের কথা বলে আপিল করার জন্য সার্টিফাইড কপি চেয়েছিলেন। আদালত মঞ্জুর করেন এবং সাজা পরোয়ানা স্থগিত করেন।

ঢাকার অতিরিক্ত মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এর আগে রবিবার এ মামলায় দণ্ডিত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দণ্ডিত অপর তিন আসামি হলেন জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুঁইয়া।

আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল আদালত। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।