হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহর হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন।এরই জেরে ইসরাইল সরকার তাদের আকাশসীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং ইউরোপের সঙ্গে সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
রোববার ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছে, দখলকৃত অঞ্চলের আকাশসীমা বন্ধ রয়েছে এবং ইউরোপের সঙ্গে সবগুলো ফ্লাইট ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে, এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, ইসরাইলের বেনগুরিয়ন বিমানবন্দরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইয়েমেন থেকে তেলআবিবের ওই বিমানবন্দরে ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামের একটি দেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। যখন ইসরাইলের অপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে বিমানবন্দরে পা রাখেন।
বিবৃতিতে জেনারেল সারি বলেন, ‘আমরা নেতানিয়াহুর আগমনের সময় বেনগুরিয়ন বিমানবন্দরে প্যালেস্টাইন-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছি’।
হাসান নাসরাল্লাহর হত্যার বদলা হিসেবেই এই হামলা চালানো হয় বলেও জানান তিনি। আর এ ঘটনার পর থেকেই দখলকৃত অঞ্চল থেকে ইউরোপ এবং ইউরোপ থেকে দখলকৃত অঞ্চলে চলাচলকারী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে ইসরাইল।
এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি (EASA) পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের প্রভাব যথাযথ মনিটর করছে। ওই অঞ্চলের আকাশে আক্রমণ বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ্য করা গেছে। যা দখলকৃত ফিলিস্তিন এবং লেবাননের ওপর বিমান পরিবহনের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে’।
এমন পরিস্থিতির কারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, এ অঞ্চলে যুদ্ধাবস্থা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি