খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটনায় তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু করেছেন। সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
২৯ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি সে সময় গণমাধ্যমে যে সকল ভিডিও প্রচারিত হয়েছে এবং পত্র-পত্রিকায় যে সব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ সহ হতাহতদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে বলেন জানান কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী।
মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার কারণ জানতে প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ সময় কোন বাস্তুচ্যুত হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। ধাপে ধাপে আমরা রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানেও কাজ করবো।
ঘটনা তদন্তে ২৬ সেপ্টেম্বর সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। আগামী ১৪ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার লক্ষে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
রবিবার বিকালে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে খাগড়াছড়ির নারান খাইয়া এলাকায় রুবেল ত্রিপুরা ও জুনান চাকমা-কে ব্রাসফায়ারে নিহতদের ঘটনাস্থল নারানখাইয়া,স্বনির্ভর ও বাইক চুরির সন্দেহে গণ পিটুনিতে নিহত মামুনের ঘটনাস্থল নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ পানখাইয়া পাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন।সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও প্রতক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেন।
তদন্তকালে কমিটির অন্যতম সদস্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহীদ চৌধুরীও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তফিকুল আলম , খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়,দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মামুনুর রশীদ, দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ,গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে বাইক চুরির অপবাদে গণপিটুনির শিকার হয়ে মামুন নামে এক যুবক নিহত হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসত বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও রাঙামাটিতে ছড়িয়ে পরে সহিংসতা।