কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে চলছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। মাঠে শান্ত পরিবেশ বজায় থাকলেও গ্যালারিতে এদিন ঘটল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ম্যাচ চলাকালে ভারতীয় দর্শকদের হামলায় আহত হয়েছেন বাংলাদেশ দলের ‘সুপার ফ্যান’ টাইগার রবি।

আজ শুক্রবার ম্যাচের মধ্যাহ্ন বিরতি চলার সময় ভারতীয় সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় রবির। এ ঘটনায় আহত হন তিনি। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। জানা গেছে, প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে।

মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় কানপুরের স্টেডিয়ামটিতে বৃষ্টি নামে। তখন গ্যালারির ভেতরের দিকে চলে যান টাইগার রবি। এই সময়ই স্থানীয় কিছু দর্শকদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় তার। পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। তখন আহত হন রবি। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। আহত রবি পরে তাকে হামলার কথা পুলিশকে জানান। পাজরে ও কোমরের নিচের অংশে আঘাত পেয়েছেন এই বাংলাদেশি সমর্থক। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে বিভিন্ন দেশ সফর করেন এই টাইগার রবি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই লিখেছে, ‘কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ‘‘সুপার ফ্যান’’ টাইগার রবিকে কিছু লোক মারধর করেছে বলে অভিযোগ আছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ আরও বিস্তারিত তথ্য জানার অপেক্ষা করছে।’

কানপুরের স্টেডিয়ামে বাঘের চামড়ার ন্যায় পোশাক পরে হাজির হয়েছিলেন টাইগার রবি। স্ট্যান্ড সি-তে ছিলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রবি ঘটনার সঠিক বর্ণনা দিতে পারেননি। তবে এটি স্পষ্ট যে তিনি ব্যাথা পেয়েছেন।

গণমাধ্যমের সঙ্গে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ইঙ্গিতে রবি জানান, তর্কাতর্কির সময় তার পেটে ঘুষি মারা হয়েছিল।

স্টেডিয়ামে উপস্থিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘রবিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সও ডাকা হয়েছিল। স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে আসার সময়, তিনি ব্যথায় কাঁপছিলেন এবং অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছিল। তাকে বসার জন্য একটি চেয়ার দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি পড়ে যান। তাকে কেউ আঘাত করেছে কি না আমরা জানি না। আমরা বুঝতে পারিনি তিনি কী বলেছেন। সম্ভবত তার ব্যাথা ছিল। দর্শকদের দিকে নজর রাখার জন্য ওই স্ট্যান্ডে আমাদের একজন কনস্টেবল আছে।’