খাগড়াছড়ির দিঘীনালার বোয়ালখালী বাজারস্থ মাছ বাজার এলাকায় তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় সাজেক ভ্যালিতে আগামী ৩ দিন পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন।

২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে রাঙামাটিতে আইনশৃঙ্খলা সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় সাজেকে আগামী ৩ দিন পর্যটকদের না যাওয়ার জন্য নিরুৎসাহিত করছি।

অবরোধের কারণে ৩ দিন আটকে থাকা পর্যটকরা সকাল ৭টায় সাজেক থেকে ১১২টি পিকআপ-চাঁদের গাড়ি, ২৩টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ১০৯ টি মোটরসাইকেলে করে ১৪০০ পর্যটক খাগড়াছড়ি ফেরে।

সেনাবাহিনীর সহায়তায় পর্যটকরা খাগড়াছড়ি আসার পথে ব্যক্তিগত গাড়িযোগে আসা পর্যটক ফরিদপুর জেলার এসএম নাহিদ উজ্জামান (৩৮), মামুন ফকির (৩৮) ও জোবায়ের আলম (২৮) দুপুর সাড়ে বারটার দিকে দীঘিনালা থানাধীন বোয়ালখালী বাজারস্থ মাছ বাজার এলাকার রাস্তার উপর পৌঁছিলে অজ্ঞাত নামা দুষ্কৃতিকারীরা তাদের গাড়ির গতিরোধ করে ৫০ (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে এবং অপহৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে ভিকটিমের মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে টাকা দেয়ার জন্য বলে। অপহৃত ব্যক্তিদের একজন আত্মীয় পুলিশ সুপার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বিষয়টি জানান।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার অপহৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়ের নিকট হতে ভিকটিমের নাম্বার সংগ্রহ পূর্বক ভিকটিমের নাম্বারে ফোন দেন। ভিকটিমের নাম্বারে ফোন যাওয়ার পর দুস্কৃতিকারীরা ট্রু কলারে পুলিশ সুপার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার নাম্বার হতে ফোন কলটি এসেছে দেখতে পেয়ে এবং অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ তৎপরতা আঁচ করতে পেরে অপহৃতদের ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দেয়ার সময় অপহৃতদের এ বিষয়ে পুলিশকে কোন কিছু না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। অপহৃত ব্যক্তিগণ অপহরনকারীদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দ্রুত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে পুলিশ সুপার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সাথে দেখা করে ঘটনার বিস্তারিত অবহিত করেন।

পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল জানান, অপহরনের চেষ্টা বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।