বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ‘আসন্ন দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবে।’

আজ সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, পুলিশ দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রাক-দুর্গাপূজা, দুর্গাপূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও দুর্গাপূজা পরবর্তী- এ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে পুলিশের পূজাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’

ময়নুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রোধে পুলিশের সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।

জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, অপরাধীরা সাধারণত মধ্যরাতে অথবা শেষ রাতে পূজামণ্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে থাকে।

পূজা চলাকালে সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা সক্রিয় রাখা, প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান আইজিপি।

আশা প্রকাশ করে ময়নুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদ্‌যাপিত হবে।

দুর্গাপূজা চলাকালে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি সোয়াট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে জানান আইজিপি। এ ছাড়া পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং অন্যান্য পুলিশ ইউনিটে মনিটরিং সেল চালু থাকবে বলেও জানান তিনি।

সভায় র‍্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবি প্রধান মো. শাহ আলম, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খাঁন, নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস চন্দ্র শীল, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী কল্পেশানন্দ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।