জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসি আবদুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীর নাম মাহমুদুল হাসান রায়হান (২০)। তার বাড়ি গাজীপুরের দক্ষিণ সালনার আড়ালিয়া এলাকায়। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে থাকতেন।

নিহত শামীম মোল্লা সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি মাস্টার্স পাস করেন।

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ভোর ৫টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে সাভারের আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে ওই রাতে তার খোঁজে মহানগরীর সালনা এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শামীম মোল্লা হত্যা মামলার আসামি মাহমুদুল হাসান রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির জানান, হত্যাকান্ডর পরপর শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রায়হান তার ফুফুর বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে চারদফা পিটিয়ে হত্যা করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।