জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার ভোরে গাজীপুরের রাজেন্দ্রনগর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক।

গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম মাহমুদুল হক রায়হান। মামলায় ৩ নম্বর আসামি রায়হান। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের) শিক্ষার্থী। এর আগে শামীম হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকায় মাহমুদুল হাসান রায়হানকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে শামীম মোল্লা হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি রায়হানকে গাজীপুরের রাজেন্দ্রনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছি। নিয়মানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে শামীম মোল্লার হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে নিরাপত্তা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে ৮ শিক্ষার্থী ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।

মামলা ও বহিষ্কারাদেশে সংশোধন

শামীম হত্যা মামলায় ও বহিষ্কারাদেশ থেকে এক শিক্ষার্থীর নাম প্রত্যাহার করে নতুন আরেক শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়ে আশুলিয়া থানায় করা মামলায় পরিবর্তন আনে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।

প্রক্টর রাশিদুল আলম আরও বলেন, মামলা ও বহিষ্কারাদেশ থেকে প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম জুবায়ের আহমেদ। তিনি ইতিহাস বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ফার্মেসি বিভাগের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে সাময়িক বহিষ্কার ও মামলায় আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।