বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবুঃ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে এবং আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যা, হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গুম-হত্যা এবং ৫ই আগস্টের আগে সারাদেশে ছাত্র-জনতা হত্যার জন্য শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিসহ বাগেরহাটের সাবেক তিন এমপি শেখ হেলাল, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, মীর শওকাত আলী বাদশাসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের অপরাধ তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বাগেরহাট জেলা বিএনপি পরিবার।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বাগেরহাট জেলা বিএনপি পরিবারের আয়োজনে জেলা জজ আদালতের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে গিয়ে সমাবেশ করে তারা । সমাবেশ শেষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান।

এসময় তাদের হাতে ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী গণতন্ত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনার ফাঁসি’ চাঁদাবাজ-মাদকাসক্ত- নারীলোভী বাগেরহাট ২ আসনের বিনা ভোটে নির্বাচিত সাবেক এমপি শেখ তন্ময় এর বিচার চাই,’ ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার কোটি কোটি টাকা লুটপাটকারী জাসদ নেতা বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান টুকুর বিচার চাই,’ ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত সদর উপজেলার চেয়ারম্যান টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, অবৈধ ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বাগেরহাটকে অশান্ত করে রাখার মূল হোতা বাগেরহাট জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাছির উদ্দীন এর বিচার চাই’, ‘জমি দখল, টেন্ডার ও চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া কয়েকটি হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসীদের গডফাদার বাগেরহাট জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্করের বিচার চাই এবং নিয়োগ বানিজ্য ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা, নামে বেনামে ফ্লাট বাড়ি ও জমির মালিক বনে যাওয়া বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মীর শওকত আলী বাদশার বিচার চাই’- লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে বাগেরহাট জেলা বিএনপি পরিবার।

মানববন্ধনে বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির তারিকুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ বাগেরহাটে বিগত ১৫ বছরে হত্যা, গুম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দূনীতিতে জড়িত থাকার দায়ে জেলার সাবেক তিন এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, মীর শওকাত আলী বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, জেলা যুবলীগের সভাপতি সর্দার নাসির উদ্দিন, বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র খান হাবিবুর রহমান, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি খান আবু বকরসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার ও ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শরিফুল ইসলাম ঠান্ডু, এডভোকেট এম এ ওয়াদুদ মুক্তা, এডভোকেট নুরুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট সিকদার ইমরান হোসেন, অ্যাডভোকেট হীরক মিনা, ষাট গম্বুজ খান জাহান আলী আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আসলাম হোসেন, ষাট গম্বুজ টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ শেখ জাহিদুল ইসলাম, রন বিজয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির হোসেন, বিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ শামীম হাসান, বিএনপি পরিবারের সদস্য শেখ মহিদুল ইসলাম, আবু হানিফ শানু, আল মামুন টিপু, ফকির মাসুম বিল্লাহ, শেখ মোস্তফা, শেখ হারুন, সালমা খাতুন, চায়না বেগমসহ কয়েক হাজার বিএনপি পরিবারের সদস্য।