জাতিসঙ্ঘ সাধারণ সভায় যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে দু’জনই নিউ ইয়র্কে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক হতে পারে। কিন্তু কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতার সাথে মুখোমুখি বৈঠক করলেও ইউনূসের সাথে মোদির কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে না। বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত একটি খবরে এই দাবি করা হয়েছে। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

পত্রিকাটিতে বলা হয়, গত ৫ অগস্ট জনবিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। অন্য দিকে, বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সংশয়। ইউনূস নিজে একাধিকবার হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং ভারতে থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির প্রসঙ্গ তুলেছেন।

আনন্দাবাজার আরো জানায় যে পাশাপাশি, দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং কলকাতার ডেপুটি হাই কমিশন থেকে হাসিনা জমানার দুই কূটনীতিককে বরখাস্ত করে বার্তা দিয়েছেন নয়াদিল্লিকে। তা ছাড়া, কিছু দিন আগে হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার করেছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে তিনি ভারতে কত দিন থাকতে পারবেন, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। নয়া সরকারে জামাতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামের মতো চরমপন্থী দলগুলোর ‘প্রভাব’ নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে ভারতের কূটনৈতিক মহলে।

আনন্দবাজার দাবি করে, এই আবহে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর তিন দিনের আমেরিকা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জাতিসঙ্ঘ সাধারণ সভায় বক্তৃতা করার পাশাপাশি চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’-এর শীর্ষবৈঠক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও অনাবাসী ভারতীয়দের সভায় যোগ দেবেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু পড়শি দেশের নয়া সরকারের প্রধানের সাথে সাক্ষাৎ হচ্ছে না তার।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা