বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হক বাবু, শাহরিয়ার কবির ও শ্যামল দত্তের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাহিদুল বিশ্বাস তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা থেকে একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই দিন রাতে রাজধানীর মহাখালীর বাসা থেকে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাদের মধ্যে মোজাম্মেল হক বাবু ও শাহরিয়ার কবিরের বিরুদ্ধে কাজের মেয়ে লিজাকে হত্যার অভিযোগে রমনা মডেল থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর গুলি করে যুবক ফজলুকে হত্যার অভিযোগে ভাসানটেক থানায় করা মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর নিহত ফজলুর ভাই সবুজ বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
পরে এ মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভাসানটেক থানাধীন এলাকায় বিজয় মিছিল করতে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফজলু মারা যান।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর নিহত গৃহকর্মী লিজার পিতা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই রমনা থানাধীন এলাকায় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ আহত হয়।
তখন বাড়ির নিচে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন লিজা আক্তার। পরে গত ২২ জুলাই বিকেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।