গাজীপুরে বেতন ভাতা পরিশোধ সহ বিভিন্ন দাবিতে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে। এতে যানবাহন আটকা পড়ে কাশিমপুরের বেক্সিমকো থেকে জিরানি পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

পুলিশ, আন্দোলনরত শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, নায়াগ্রা টেক্সটাইল লিমিটেড এবং সারাবো এলাকার বেক্সিমকো টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে মঙ্গলবার সকাল হতে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা কারখানার পার্শ্ববর্তী চন্দ্রা ও চক্রবর্তী এলাকায় কালিয়াকৈর-নবীনগর ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। নায়াগ্রা টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকরা গত মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবীতে চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের একপাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে ওই সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুরের তাসমিয়া হারবাল লিমিটেডের শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধিসহ আট দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে। এসময় তারা কারখানার অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করে। এদিকে বেতন বৃদ্ধিসহ প্রায় একই দাবীতে স্থানীয় বিক্ষোভ করে ভেরিতাস ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

অপরদিকে, গাজীপুর সদরের জয়দেবপুর থানার মেম্বারবাড়ী (শিরিরচালা) এলাকার এক্সিকিউটিভ হাই ফ্যাশন লিমিটেড কারখানা সোমবার রাতে ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে আয়রনম্যান আরমানকে মারধর করে তার মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। শ্রমিকদের দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল হতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের বেক্সিমকো জোনের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মোর্শেদ জানান, শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কের চন্দ্রা ও চক্রবর্তী এলাকায় সড়ক অবরোধ করলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শিল্পপুলিশ মোতায়েন রয়েছে।