বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘এই হাসপাতালে আমি যুদ্ধের পর একবার এসেছিলাম। তখন অবস্থাটা দেখেছি। তখন অন্তত তো বলা যেত পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী আমাদের লোকদের আক্রমণ করেছে। এখন তো সেই সান্ত্বনার জায়গাটুকুও নাই। এখন যারা করেছে, তারা তো আমাদের দেশেরই মানুষ। শুধু পুলিশ বা বিভিন্ন বাহিনী যে আহত করেছে তা নয়, এখানে এক ছাত্রকে দেখলাম কুপিয়েছে। এটা বন্ধ হতে হবে। এটা চলতে দেওয়া যায় না। আমরা স্বাধীন দেশে জনগণের ওপর মারণাস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করতে চাই। এটার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে আহতদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন ফাওজুল কবির খান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, তখন দেখতাম আন্দোলনে গেলে পুলিশ লাঠিপেটা করত। এখন লাঠিপেটা করে না, গুলি করে। যেন মারা যায় বা পঙ্গু হয়ে যায়। একটা স্বাধীন দেশে এটা আশা করা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘আহত ও নিহতের পরিবারকে পুনর্বাসন করাই আমাদের কাজ, বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। এখানে দেখলাম সব শ্রেণিপেশার মানুষ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের, কলেজের, মাদ্রাসার ছাত্র আছে। শ্রমিক আছে। একটা স্কুলের ছাত্রও দেখলাম, ছয় বছর বয়সের।’
সবাই সুচিকিৎসা পাচ্ছেন জানিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমি প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করেছি তারা সুচিকিৎসা পাচ্ছে কিনা? সবাই বলেছেন বিনামূল্যে এবং প্রকৃত চিকিৎসা পাচ্ছেন। কিছু মানুষ আছেন দিনমজুর, তাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। সংসার চালানোর খরচ পাচ্ছে না। আমি পরিচালক মহোদয়কে বলেছি যাদের অর্থ সহায়তা দরকার তাদের একটা তালিকা দেওয়ার জন্য। সেটা আমরা হয়তো ব্যক্তিপর্যায়ে অনুরোধ করে কিংবা সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে করব।’