ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে পদত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ সপ্তাহ পরে সামনে এলো শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র। কিন্তু ফেসবুকে ভাইরাল এই পদত্যাগপত্রটি আওয়ামী লীগের ফেসবুক ভেরিফাইড পেজ থেকে ভুয়া বলে দাবি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, দেশের টিভি চ্যানেলের ফেসবুকে এরকম অপরিপক্ক এডিটেড কোনো পদত্যাগপত্র প্রকাশ, একটি দৈন্যতা মাত্র। তারা ফেসবুকে ভাইরাল ওই পোস্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, কেন এই পদত্যাগপত্র ভুয়া?

১। তারা ভুলে এখনো মুজিববর্ষ লোগো লাগিয়ে রেখেছে, যেই মুজিববর্ষ ২০২১ সালে শেষ।

২। ভুয়া এই পদত্যাগপত্রটি অত্যন্ত অস্পষ্ট।

৩। পদত্যাগপত্রের ভাষা দেখুন, যা মন চায় তারা একটা কিছু লিখে পাবলিশ করে দিলো।

৪। শেখ হাসিনার স্বাক্ষরটিও গুগল থেকে নিয়েছে, যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মূল পেজের সঙ্গে স্বাক্ষরের অংশের পিক্সেলের পার্থক্য।

৫। ৫ আগস্ট ছিল ২১ শ্রাবণ, পদত্যাগপত্রে দেওয়া ২০ শ্রাবণ!

পোস্টে আরও লিখেছে, দেশের মিডিয়াকে এরকম নগ্নভাবে ব্যবহার করে নিজেদেরকে হাসির পাত্র বানাবেন না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার যে আনুষ্ঠানিকতা সেই সময় নেননি। তিনি সোজা তেজগাঁও থেকে বিমানে করে ভারতে গেছেন। এইসব বাদ দিয়ে বরং দেশের সমস্যা সমাধান করার আহ্বানও জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট দুপুরে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে চরে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। আর সেখানেই বর্তমানে তিনি অবস্থান করছেন। সম্প্রতি একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপে তাকে বলতে শোনা যায়, তিনি পদত্যাগ করেননি, তিনি এখনো বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনা এক বার্তায় দাবি করেছেন, তিনি পদত্যাগ করেননি। তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ও একাধিকবার দাবি করেছেন, তার মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।