দেউলিয়া হতে চাওয়া সমালোচিত সেই চালকল মালিক ওসমানের বিরুদ্ধে এবার পাওনাদারকে পেটানোর অভিযোগে উঠেছে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে বেদম মারপিট ও হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। তাদের মধ্য আশংকা জনক তিন জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা ওসমান ও তার ছেলেসহ অন্তত একশ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত এজহার করেছেন। শুক্রবার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর থানায় এই অভিয়োগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ও লিখিত এজহার সূত্রে জানা গেছে, ধান বিক্রির পাওনা টাকা চাইতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমান এগ্রোর চালকলে যান, ছামিউল আলম, মিজানুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন ক্ষুদ্র ধান ব্যবসায়ী। এসময় মিলের প্রধান ফটকের সামনে গেলে ওসমান গনি ও তার ছেলে রুহুল আমিনসহ মিলের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা ধারালো হাসুয়া, লোহার রড এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পাওনাদারদের এলোপাথাড়ি মারপিট করে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হোন। পাওনাদারদের ১০ টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করে। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদের কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় করেন।
ভুক্তভোগি ছামিউল আলম বলেন, ‘ওসমান গনি ২৬০ জনের কাছ থেকে বাঁকীতে ধান ক্রয় করেছেন। পাওনা টাকা চাইলে দীর্ঘদিন ধরে তালবাহানা করছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানের টাকা পরিশোধের কথা বলে তার চালকলে ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ওসমানের ছেলেসহ মিলের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা পাওনাদারদের উপড় অতর্কিত হামলা ও বেধরক মারপিট করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওসমান গনি সাংবাদিকদের বলেন, পাওনাদাররাই চালকলে হামলা করেছে। এতে মিলে কর্মরত কয়েক জন আহত হয়েছে।
ওসমান গনির দেনা ২৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ২৫২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সেই ঋণ পরিশো না করে দায় মুক্তির জন্য দেউলিয়া আদালতে আবেদন করেছেন। এর পর থেকে প্রায় ৮ মাস ধরে তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
এবিষয়ে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন বলেন, আহতরা মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মারপিটের ঘটনায় পাওনাদাররা মামলা দেয়ার পর এক জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মোঃ খালেদ বিন ফিরোজ
নওগাঁ প্রতিনিধি