দেশে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পণ্যটি আমদানির উদ্যোগ নেওয়ার পরও কোনো প্রভাব পড়েনি।ভারত থেকে ডিম আমদানি হলেও দাম আগের মতোই রয়েছে, বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫, যা আগে ১৫০-১৬০ টাকা ছিল।

এদিকে দেশে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ লাখ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। প্রথম চালানে গত বছর আমদানি হয় ৬১ হাজার ৮৫০টি ডিম। এবার দ্বিতীয় চালানে আমদানি হয় ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০টি। তারপরও দাম কমেনি, বরং হুহু করে বাড়ছে।

ঢাকার কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা মোহাম্মদ লিটন বলেন, ভারত থেকে কম দামে ডিম আমদানির কারণে বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। গত এক মাস ধরে খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।

মগবাজার ও হাতিরপুল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, অর্থাৎ, চারটি ডিমের দাম ৫৫ টাকা।

রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. ইমন বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এক সরকার পতন ঘটিয়ে নতুন এক সরকার দেশ পরিচালনা করছে। ভেবেছিলাম এ সরকারের আমলে কিছু কমুক আর না কমুক, নিত্যপণ্যের দাম কমবে; কিন্তু তা কমেনি। বরং বেড়েছে। পণ্যের দাম কমাতে কিছু পণ্যের শুল্ক হ্রাসও করা হয়েছে; কিন্তু বাজারে এর প্রভাব নেই। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের বাড়তি দরেই পণ্য কিনতে হচ্ছে। তিনি জানান, বাজারে ডিমের কোনো সংকট নেই। তারপরও ডজন কিনতে ১৬৫ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, সরকার বিদেশ থেকে ডিম আমদানি বন্ধ না করলে, তারা ডিম ও মুরগির উৎপাদন বন্ধ করে দেবে।

তারা বলেছে, বাংলাদেশের ডিমের দৈনিক চাহিদা ৪ কোটি। স্থানীয় উৎপাদন বর্তমানে এর চেয়ে বেশি, প্রতিদিন ৪.৫ কোটি ডিম উৎপাদিত হচ্ছে।

অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, ডিম আমদানির ফলে স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট তৈরি করবে।